মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ এরশাদ-জিয়া কেউই জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি : ওবায়দুল কাদের
রহমত নিউজ ডেস্ক 25 July, 2023 01:06 PM
নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকবে কেউ সংঘাত করতে আসলে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি খালি মাঠ পেলে সংঘাত করতে চাইবে। আমরা সেই সুযোগ দেবো না। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী নয় অস্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। এরশাদ কিংবা জিয়া কেউই জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। কারণ তাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই। বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তাদের অবস্থা কী হবে। নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ের নিশ্চয়তা না দিলে তারা নির্বাচনের প্রতি আস্থাশীল হবে না। যেকোনো দিবস বা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি থেকে দূরে থাকতে হবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে হবে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদাল চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ কষ্টে থাকলেও জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। ৭০ শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। জনগণের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। ২০০৯ পূর্ববর্তী এবং ২০০৯ পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধিনে, শেখ হাসিনা এটাকে পরিবর্তন করেছেন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিসহ সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্য অভিযাত্রা করবো। আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিবো না, তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়। দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লড়াই করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে আছে। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কিছুটা দুঃখ-কষ্টে আছে। এরপরও শেখ হাসিনার সততা ও পরিশ্রমের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমাদের শোকের মাসের কর্মসূচিও যখন আমরা নিতে যাই তখনও বিএনপি ও তার দোসরাতো বলেই, কিছু মিডিয়াও এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বলে প্রচার করে। শোকের মাসেও কি আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছি? আমরা তো বলেছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। ২৪ থেকে ২৭, ২৭ থেকে ৩০ এটা আমাদের সুবিধার ব্যাপার। আপনারা ডেকেছেন মহাসমাবেশ আর আমাদেরটা হলো তারুণ্যের সমাবেশ। তারুণ্যের যাত্রা। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কি করে? কোথায় পাল্টাপাল্টি হলো? কি কারণে আমরা সংঘাত করব? সংঘাত তারাই করে যারা দুর্বল, তাদের কোনো সমর্থক নেই। আমরা সংঘাত করতে যাব কেন?